ট্রাম্প প্রশাসনের সদস্যদের বোমা হামলার হুমকি

যুক্তরাষ্ট্রের নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের আগামী প্রশাসনের বেশ কয়েকজন মন্ত্রীপদে মনোনীত সদস্যকে বোমা হামলার হুমকি দেওয়া হয়েছে। এই হুমকি গত ২৬ ও ২৭ নভেম্বর, মঙ্গল ও বুধবার, দেওয়া হয়। এ বিষয়ে তদন্ত শুরু করেছে দেশটির কেন্দ্রীয় তদন্ত সংস্থা এফবিআই। তাদের তদন্তে জানা গেছে, বেশ কয়েকটি ভুয়া ফোনকলের মাধ্যমে এসব হুমকি এবং সংশ্লিষ্ট তথ্য পৌঁছানো হয়েছিল। এসব ফোনকলের উদ্দেশ্য ছিল—ট্রাম্পের মনোনীত কর্মকর্তাদের বাড়িতে পুলিশ জড়ো করা।

এফবিআই জানিয়েছে, বেশ কিছু বোমা হামলার হুমকি এবং এসব হুমকির সঙ্গে সম্পর্কিত ভুয়া ফোনকলের তথ্য তারা পেয়েছে। এই হুমকির লক্ষ্য ছিলেন ট্রাম্পের হবু প্রশাসনের প্রতিরক্ষা, আবাসন, কৃষি, শ্রম মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রীপদে মনোনীত ব্যক্তিরা, মোট ৯ জন ব্যক্তি। এছাড়া, জাতিসংঘে মার্কিন রাষ্ট্রদূত হিসেবে মনোনীত ব্যক্তিরও নাম তালিকায় ছিল।

এ বিষয়ে হোয়াইট হাউসের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, হুমকির ঘটনাগুলো প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনকে জানানো হয়েছে এবং বিষয়টির উপর মনিটরিং চলছে। ট্রাম্পের নির্বাচিত প্রশাসনের সদস্য এবং তাদের পরিবারদের বিরুদ্ধে যে সহিংস ও অ-আমেরিকান হুমকি এসেছে, তা গভীর উদ্বেগের বিষয় বলে উল্লেখ করেছেন হোয়াইট হাউসের মুখপাত্র ক্যারোলিন লেভিত।

তিনি আরও জানান, আইনপ্রয়োগকারী সংস্থা দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণ করে নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে কাজ করছে। তবে, এফবিআই এবং ক্যারোলিন লেভিত কেউই বোমা হামলার হুমকি পাওয়া ব্যক্তির নাম প্রকাশ করেননি।

বিশেষত, জাতিসংঘে মার্কিন রাষ্ট্রদূত হিসেবে মনোনীত নিউইয়র্কের রিপাবলিকান কংগ্রেস সদস্য এলিস স্টেফানিকের বাড়িতে বোমা হামলার হুমকি দেওয়া হয়েছে। স্টেফানিকের দপ্তর জানিয়েছে, এ বিষয়ে তাকে অবগত করা হয়েছে, এবং তিনি তার পরিবারসহ ওয়াশিংটন থেকে নিউইয়র্কে ফিরে আসছিলেন।

এছাড়া, ট্রাম্পের মনোনীত প্রতিরক্ষামন্ত্রী পিট হেগসেথও এক এক্স বার্তায় জানালেন, তার বাড়িতে পাইপ বোমা হামলার হুমকি দেওয়া হয়েছিল। ওই সময় তার সাত সন্তান বাড়িতে ঘুমাচ্ছিলেন।

এমনই বোমা হামলার হুমকি অন্যান্য মনোনীত মন্ত্রীদের, যেমন—পরিবেশ সুরক্ষা সংস্থার প্রশাসক লি জেলডিন, কৃষিমন্ত্রী ব্রুক রোলিন্স, আবাসনমন্ত্রী স্কট টার্নার এবং শ্রমমন্ত্রী লোরি শাভেজ-ডিরেমারকেও লক্ষ্যবস্তু করা হয়েছে।

ফ্লোরিডার রিপাবলিকান কংগ্রেসম্যান ম্যাট গেটজ, যিনি সম্প্রতি ট্রাম্প প্রশাসনের অ্যাটর্নি জেনারেল পদ থেকে মনোনয়ন প্রত্যাহার করেছেন, তিনিও হুমকির শিকার হয়েছেন।

এফবিআই তদন্ত করছে এবং সংশ্লিষ্ট নিরাপত্তা ব্যবস্থা দ্রুত কার্যকর করা হয়েছে। হুমকির ফলে ট্রাম্পের প্রশাসনের সদস্যদের নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগ থাকলেও, প্রশাসন দ্রুত পদক্ষেপ নিচ্ছে।